লকডাউনের জেরে অনাহারে ময়ূরগ্ৰামের ময়ূররা

5th April 2020 হুগলী
লকডাউনের জেরে অনাহারে ময়ূরগ্ৰামের ময়ূররা


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) : একটা দুটো নয় প্রায় ১৫০ শোর বেশি ময়ুরদের দিন কাটাছে অনাহারে।এমনি অবস্থা হুগলীর পোলবা থানার অন্তর্গত রাজহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের গান্ধী গ্রামে। ময়ুরের গ্রাম নামে পরিচিত  এলাকাটি। এখানে আসলেই যত্রতত্র ময়ুর দের পেখম মেলে খেলতে দেখা যায়,আর এই ময়ুরদের চাক্ষুষ করতে বছরভর বহু মানুষ আসে গ্রামে।কিন্তু সে সুসময় আজ অতীত, বড্ড কঠিন সময় দিন কাটছে জাতীয় পাখিদের।  গ্রামের মুস্টিমেয় কিছু বাসিন্দারা বছর ভর এদের লালন পালন করে আসছে বহু বছর ধরে।বর্তমানে করোনার জেরে  লকডাউন চলছে চারিদিকে। এই গ্রামের এখন চাষের কাজ  প্রায় বন্ধ রয়েছে।লকডাউনের ফলে এই সময়ে মানুষেরই খাবারের যোগান  কঠিন হয়ে পরছে।গ্রামেরই কল্যা পরিবার জানায় মুলত চাল ও গম খেয়ে থাকে এখানকার ময়ুররেরা, সেই চাল ও গমের ভান্ডার এখন প্রায় শূন‍্য ।  সারাটা দিনে যে খাবার ওদের দরকার তার এক ভাগও দেওয়া যাচ্ছে না এখন। আমাদের কার্ড পিছু
রেশন দোকানে যে পরিমাণে চাল ও গম পাওয়া গেছে সেটা দিয়েও ওদের পর্যাপ্ত পরিমানে খাবারের জোগান দিতে পারা যাচ্ছে না। চারিদিকে ঘুরে ঘুরে যে টুকু খাবার খায় ওরা।  কিন্তু খাবার সময় হলেই চলে আসে বাড়ির সামনে, ডাকতে থাকে। তখনই চোখে জল চলে আসে আমাদের। উপায় না দেখে অল্প কিছু দিয়ে ওদের তারিয়ে দিই।এখন আমাদেরই অবস্থা ভালো নয়।কাজ  বন্ধ হয়ে গেছে।তাই কি আর করবো।পঞ্চায়েত প্রধান থেকে বিধায়ক, সবার কাছে গিয়েছি ওদের খাবারের জোগানের জন্য কিন্তু কেউই সারা দিলো না।এখন যা দেখছি অনাহারে না মারা যায় ময়ুরেরা।এখন আশায় দিন গুনছে গান্ধী গ্রাম লকডাউন কবে শেষ হবে, কবে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার পাবে দেশের জাতীয়  পাখি। প্রশাসনের থেকে কোন সাহায্য না মেলায় ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।

ভিডিও লিঙ্ক : 

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=706360456799634&id=219524035483281





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।